প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: ' তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে অনেকেই রাজনৈতিক কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিরোধীতা করে থাকেন। তবে ভারতের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে আমাদের মতো রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাদের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক থাকাটাই খুবই স্বাভাবিক।'
শনিবার রাতে ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন অ্যালামনাই এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ (ইমক্যাব) আয়োজিত মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
' ইমক্যাব'র সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে রাখেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ডের প্রধান ও দিল্লীর সাবেক প্রেস মিনিষ্টার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফরিদ হোসেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, ভারতীয় সাংবাদিক প্রসাদ শ্যার্নাল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান জুয়েল, ঐক্য ডটকমের সিইও অপু মাহফুজ প্রমুখ।'
-অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় একটি দেশকে জাগিয়ে রাখেন। আজকে পুরস্কার প্রাপ্তররাসহ সব সাংবাদিক সেই কাজটি খুব ভালোবেসে করে থাকেন। তারা একটি দেশের পরিবর্তন আনতে সহায়ক। পুরো বিশ্বের মধ্যে তারা নিজেদের দেশকে জাগিয়ে রেখেছেন দীপ জ্বেলে।
তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে শিক্ষা ও জনগণের উন্নতি সাধনে ভারত বাংলাদেশকে সাধ্যমতো সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
'আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের দেশেও রাজনৈতিক নেতা আছে, ভারতেও আছে। ফায়দা লুটার জন্য অনেকেই অনেক কথা বলেন। সেটিকে মুখ্য করে সংবাদ পরিবেশন করা কোনো সঠিক সংবাদ নয়। ভারত ও বাংলাদেশ নিয়ে যেন কোনো মতবিরোধ সৃষ্টি না হয়, সেটি নিয়ে সাংবাদিকরা বলতে পারেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আরও ভালো কাজ করবেন এবং আজকের এই আয়োজন দুই দেশের বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।'
-ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক ভিক্তিক প্রতিবেদনের জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতি বছর একজন করে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে (২০১৯, ২০২০ ও ২০২১) গত তিন বছর এ পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল। শনিবার তিন বছরের পুরস্কার একসঙ্গে প্রদান করা হয়।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে আমাদের রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়: তথ্যমন্ত্রী
'তিনজন হলেন-রাহীদ এজাজ (প্রথম আলো), শামীমা দোলা (নিউজ বাংলা ডটকম) ও আশিকুর রহমান শ্রাবণ (নিউজ টোয়েন্টিফোর টিম আন্ডার কাভার)। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ বাংলাদেশ ও ভারতের আমন্ত্রিত অতিথিরা। পুরস্কারপ্রাপ্তদের ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ সম্মানি দেওয়া হয়।'
'অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-ডেইলী অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, চ্যানেল একাত্তরের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুুল আহসান বুলবুল, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলঅম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, সমকালের সহযোগী সম্পাদক সবুজ ইউনুস প্রমুখ।'
-অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এহসানুল করিম বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো। এই সম্পর্ক আগামীতে আরও উন্নত হবে বলে আশা করেন তিনি।